প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাঠ্যপুস্তক গ্রহণের পর স্কুল শিশুরা শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন প্রাঙ্গণে খেলাধুলা করেছে। এ সময় শেখ হাসিনাও স্কুল শিশুদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বাসস’কে জানান, ‘পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ করার পর ২০ স্কুল শিশু প্রধানমন্ত্রীর কাছে গণভবন প্রাঙ্গণে খেলা করার অনুমতি চায়’।
খোকন জানান, প্রধানমন্ত্রী শিশুদের খেলার অনুমতি দিলে তারা আনন্দে ফেটে পড়ে এবং গণভবনের দক্ষিণ প্রাঙ্গনে খেলতে শুরু করে। তারা সেখানে থাকা দোলনা, মই ও স্লিপারসহ বিভিন্ন রাইডারে আরোহণ করে।
এর আগে শেখ হাসিনা প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্টি ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ২০ শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্য বই দিয়ে শিক্ষাবর্ষ -২০১৮-এর জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উপ প্রেস সচিব বলেন, বই হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রী শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমানও বক্তৃতা করেন। সভা পরিচালনা করেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপিত হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্টিও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চার কোটি ৩৭ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাঝে মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার পাঠ্যবই বিতরণের মাধ্যমে ১ জানুয়ারি এই উৎসব উদযাপন করা হবে।
নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ বছরের ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব’-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি নববর্ষের দিনে নগরীর আজিমপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পৃথকভাবে উদ্বোধন করবেন।
বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে।