দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গতবারের চেয়ে ফলাফল খারাপ

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গতবারের চেয়ে ফলাফল খারাপ

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

শনিবার বেলা আড়াইটায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। গত বারের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছিল ২৭ হাজার ৮৯ জন।

ফলাফলে গতবারের চেয়ে এবারে শতভাগ পাসকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে। এবার শতভাগ পাসকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৮০টি যা গতবারে ছিল ৮৯৯টি। অপরদিকে কেউই পাস করেনি এমন (শূন্য ফলাফলপ্রাপ্ত) বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩টি যা গতবারে মাত্র ৬টি। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৬০টি ও অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩১৭৬টি।

ফলাফল প্রকাশ করে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার ফলাফল তেমন সন্তোষজনক নয়। কারণ ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ার কারণে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটিই সামান্য কমেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৩ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৮৪.৩৫ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৬৪৫ জন। ২০১২ সালে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৫ জন। পাসের হার ছিল ৮৪.৮৮ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৫৩৪ জন।

২০১৩ সালে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৩ জন। গড় পাসের হার ৮৮.৯১ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ৮৩৬ জন। ২০১৪ সালে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১০ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৯০.১০ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ৪২০ জন। ২০১৫ সালে ২ লাখ ১৩ হাজার ৮১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮২ জন উত্তীর্ণ হয়। গড় পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৫২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯ হাজার ১৪৩ জন। ২০১৬ সালে ২ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ লাখ ১ হাজার ৫২৫ জন উত্তীর্ণ হয়। গড় পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৭ হাজার ৮৯ জন।

ফলাফল প্রকাশের সময় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. ফারাজ উদ্দিন তালুকদার, উপ-সচিব ড. আব্দুর রাজ্জাক, বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ন ভট্টাচার্য, উপ-পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-অর-রশিদ, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. আলতাফ হোসেন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ রাকিবুল ইসলাম, শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আজিজুল হক শাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অষ্টমবারের মতো জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা সংবাদ