জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২ জন শিক্ষার্থী বাদে সবাই পাস করেছে। পাসের হার ৯৯ দশমকি ৮৯ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সে হিসাবে এবার মতিঝিল আইডিয়ালের পাসের হার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
পাসের হার কমলেও এবার ঢাকা শহরের অন্যতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও। আগের বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেশি হয়েছে ২ হাজার ৪টি।
জেএসসির পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর (পিইসি) ফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। পিইসিতে মতিঝিল আইডিয়াল থেকে অংশ নেয়া শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে বলে জানান ড. শাহান আরা বেগম। তবে পিইসির ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তিনি জানাননি।
এ বিষয়ে ড. শাহান আরা বেগম বলেন, আমাদের বনশ্রীতে থাকা শাখার তথ্য পায়নি। তাই এ পিইসির ফলাফল বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের এখান থেকে অংশগ্রহণ করা শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। পাসের হার নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
ড. শাহান আরা বেগমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার মতিঝিল আইডিয়াল থেকে জেএসসি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৮৬৫ জন। অর্থাৎ মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬২৬ জন।
আগের বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে থেকে পাস করে ১ হাজার ৫৯৫ জন। অর্থাৎ ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া মাত্র একজন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৪২২ জন।
প্রায় শতভাগ পাস করা এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বাড়ায় বেশ খুশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরই স্কুলের শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে উঠে। স্কুলের মাঠে নানাভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উল্লাস করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আনন্দে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাকরাও ব্যাপক খুশি।
ফলাফলের সম্পর্কে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সব সময় যেভাবে চলি সেভাবেই শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করেছি। এর জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবিভাবক, পরিচালনা পর্ষদ সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল এটি। এর জন্য আমি সব থেকে বেশি ধন্যবাদ জানাই শিক্ষার্থীদের। তারা এতো ছোট বয়সে সঠিকভাবে খাতে লিখতে পেরেছে, এটা অনেক বড় বিষয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্য কোনো বই পড়াই না। যারা অতিরিক্ত বই পড়াই তাদের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কাউকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই হয় তো এ কাজ করতে পারে। আর কচিংয়ের বিষয়ে আমি বলবো, ছেলে-মেয়েদের কোচিংয়ে না পাঠিয়ে বাসায় বাবা-মা একটি খেয়াল করলেই তারা ভালো করবে।