বুধবার ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালবার্ট ডেল রোজারিও বলেন, ‘এসব যুদ্ধাস্ত্র দেশকে ন্যূনতম প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্রের একটি তালিকা পাঠাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র এগুলো সরবরাহ করে আমাদের সাহায্য করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের অন্যান্য বন্ধুর কাছ থেকেও আমরা সাহায্যের আশা করছি।’
এছাড়া সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, মানবিক সাহায্য এবং দুর্যোগকালীন ত্রাণ সহায়তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফিলিপাইন তার অংশীদারিত্ব জোরদার করছে বলে উল্লেখ করেন রোজারিও।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই মুহূর্তে উল্লেখিত সরঞ্জামাদি ফিলিপাইনের প্রয়োজন। এছাড়া, মিত্র হিসেবে ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখা এবং আরো বিস্তৃত আকারে নতুন স্থানে ও ঘন ঘন মহড়া চালিয়ে যাওয়া দরকার বলে মত দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ চীন সাগর তথা পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে বিরোধপূর্ণ সীমায় চীনের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে উঠলে গত মাসে ফিলিপাইনের সঙ্গে বড় আকারে সামরিক মহড়া দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী ‘সামরিক আগ্রাসনের হুমকির’ মধ্যে নিপতিত এ দুর্বল মিত্রকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ চীন সাগরে কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের বিরোধ বহু দিনের। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে দুই দেশের নৌ বাহিনীর জাহাজ মুখোমুখি অবস্থান নিলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এর প্রেক্ষিতে সমস্যা নিরসনে ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রস্তাব করলেও চীন তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে চীনের প্রতি সতর্কবার্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।