জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত অভিযোগ তুলে ধরে আরো একটি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরুর পর প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী এই আবেদন করেন।
এছাড়া আরো ছয়জন সাক্ষীকে এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন তিনি।
প্রাথমিক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আরো শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছে আদালত।
সাত দফা অভিযোগ আদালতে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে গত ৭ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়।
এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১৬ এপ্রিল মামলাটি নবগঠিত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। বুধবারই প্রথম দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হলো।
মুক্তিযুদ্ধকালে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজন জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদেরের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেয়।
প্রসিকিউশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কাদের মোল্লার অপরাধ ক্ষেত্র ছিল মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকা। ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ওই এলাকায় বাঙালি নিধন শুরু করেন তিনি। স্থানীয় বিহারিরা তাকে সহায়তা করে।
মিরপুরের আলোকদী গ্রামেও গণহত্যায় অংশ নেন জামায়াতের এই নেতা, যিনি নৃশংসতার জন্য পরিচিতি পান ‘জল্লাদ’ বা ‘কসাই’ নামে।