বায়ান্ন’র আন্দোলন থেকে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। এরমধ্যে ঘটে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি আর ছেষট্টি’র ছয় দফা আন্দোলন। এই দীর্ঘ ২২ বছর উঠে এসেছে মাত্র ১মিনিট ১১সেকেন্ডে। হ্যাঁ, এটা সম্বব হয়েছে মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবির ‘টাকায় আঁকা গৌরবের ইতিহাস’ বিজ্ঞাপন চিত্রে। ওই বিজ্ঞাপনে ঐতিহাসিক পাঁচ চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরেছেন শরিফুল রাজ। যেটি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সাদাকালো সেই বিজ্ঞাপনচিত্রে রাজকে দেখা গেছে, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের মিছিলে স্লোগান দিতে। চুয়ান্ন’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় পূর্ব-পাকিস্তানের এক সংসদ সদস্যের চরিত্রে। একাত্তর সালে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনছেন রেডিও হাতে আর যুদ্ধ শেষে উল্লাস করে গাড়িতে করে নিজের দেশে ফিরতে। সবশেষ চরিত্রে বর্তমান সময়ের একজন তরুণের চরিত্রে দেখা গেছে রাজকে।
এমন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানালেন রাজ। জাগো নিউজকে তিনি বললেন, যখন আমি এই বিজ্ঞাপনের গল্প শুনি তখনই কাজ করতে আগ্রহী হই। শুটিংয়ের সময় নিজেকে ও মনকে ইতিহাসের সেই সময়ে নিয়ে যাই। ৫২’র প্রেক্ষপট শুটিংয়ের সময় আমার মনে হয়েছে, আমি সত্যি এখন ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আছি।
ঐতিহাসিক এমন কাজ করে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? রাজ জানালেন, আমি অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছি। কিন্তু রবির এই কাজটি ভিন্ন অন্যরকম লেগেছে। কাজ শেষের পর গুণী মানুষের প্রশংসা পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা, গর্ব হচ্ছে এমন কয়েকটি গৌরবময় বিজয়গাঁথা চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে। ছবিয়াল টিম ও সান কমিউনিকেশনকে এমন কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
এই বিজ্ঞাপনে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লাইন ভয়েস ওভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শরিফুল রাজ মূলত বিলবোর্ড ও র্যাম্প মডেল। দেশে নামীদামী সব ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে তার পরিচিত অন্যরকম। ২০১০ সালে মডেলিং দিয়ে শুরু করেন মিডিয়া যাত্রা তিনি। তবে তার অভিষেক হয়েছে চলচ্চিত্রেও। গেল বছর রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘আইসক্রিম’ ছবিতে রাজ দুর্দান্ত অভিনয় অন্যরকম পরিচিতি পেয়েছেন।