ইরান ও উত্তর কোরিয়া ও অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা কমাতে বৃহস্পতিবার চীনকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
চীনের বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী চেন গুয়াংচেংকে নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ ফেরানোর চেষ্টায় তিনি এ আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দু’দিনব্যাপী কৌশলগত ও অর্থনৈতকি সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে হিলারি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চলার জন্য চীনকে চাপ দেন। কিন্তু চেন গুয়েংচেং এর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।
দৃষ্টিহীন এই মানবাধিকার কর্মী গৃহবন্দীত্ব থেকে পালানোর পর বেইজিং এ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন। চীনে থাকা নিয়ে দুপক্ষে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। কিন্তু পরে এ চুক্তিতেও ভরসা রাখতে পারেননি চেন।
চেনের বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার মধ্যেও হিলারি বলেন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির রাশ টেনে ধরা এবং সিরিয়া সরকারকে সহিসংতা বন্ধের জন্য চাপ দেওয়ার ব্যাপারে চীন সহায়তা করবে বলেই যুক্তরাষ্ট্র আশা করে।
চীনের রাজধানী বেইজিং এ সমবেত মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হিলারি বলেন, দু’দেশেরই লক্ষ্য এক। আর তা হচ্ছে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে দূরে রাখা।
“আন্তর্জাতিক শর্ত মেনে চলা, আন্তরিকভাবে আলোচনায় বসা এবং পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে তা প্রমাণ করার জন্য ইরানকে চাপে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ,”বলেন হিলারি।
ইরানের অশোধিত তেল ক্রয়ের অন্যতম ক্রেতা চীন। ফলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যুক্তরাষ্ট্রের দাবির বিরোধিতা করে আসছে দেশটি। একইভাবে উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের যুক্তরাষ্ট্রের দাবিরও বিরোধিতা করে আসছে চীন। কিন্তু এ সমস্ত ইস্যুতে দু’দেশের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন হিলারি।