জাল নোটের উৎস চিহ্নিত এবং জালনোট তৈরি ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।এজন্য উভয় দেশের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ,কাজের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে।
রোববার ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরে বাংলাদেশ ও ভারত জাল নোট সংক্রান্ত যৌথ টাস্ক ফোর্সের ৩ দিনব্যাপী চতুর্থ সভায় উভয় দেশের প্রতিনিধিরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো: মোখলেসুর রহমান সভা উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে অপরাধ দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ছে। এর ফলে জঙ্গি দমন, জাল নোট রোধসহ আন্ত:দেশীয় অপরাধ দমন সহজ হয়েছে। এ সহযোগিতা বিদ্যমান থাকলে উভয় দেশ উপকৃত হবে এবং ভবিষ্যতেও নানা ধরনের অপরাধ মোকাবেলা ও বিভিন্ন বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া সহজতর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রৌশন আরা বেগম।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এনআইএ’র আইজি অনিল শুক্লা।সভায় উভয় দেশের ২৬ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান এনআইএ’র আইজি অনিল শুক্লা বলেন, উভয় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অপরাধ দমনে আমরা যৌথভাবে কাজ করবো। এতে জাল নোট বন্ধসহ অনেক অপরাধ দমন করা সহজ হবে।
সভায় জাল নোট বন্ধে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এর আগে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাল নোট বন্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।