সোডিয়াম ও হ্যালোজেন বাতির পর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারা ২০১৫ সাল নাগাদ দেখতে পাবেন বিকল্প উৎসের আলো।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের এক বৈঠকে বুধবার এ সম্পর্কিত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৩১৮ কোটি টাকার ‘সোলার স্ট্রিট লাইটিং প্রোগ্রাম ইন সিটি কর্পোরেশন’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকাসহ সাত সিটি করপোরেশনের এক হাজার কিলোমিটার রাস্তায় জ্বলবে সৌর বিদ্যুৎ চালিত বাতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, “বিদ্যুৎ বিভাগ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের রাস্তায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত বাতি স্থাপন করবে।”
প্রকল্পের ৩১৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৩৭ কোটি টাকা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০১৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে।
এছাড়া একনেক সভায় ‘টঙ্গী শহরে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং ড্রেনেজ প্রকল্প’ নামে অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠসহ পৌরসভার পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার স¤প্রসারণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা।
বৈঠকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে- ১৩১ কোটি টাকার ‘ইন্সটেলেশন অব অফ-গ্রিড উইন্ড-স্যোলার হাইব্রিড সিস্টেম’ প্রকল্প, ১৯৩ কোটি টাকার ‘ইন্সটেলেশন অব ৫ মেগাওয়াট ফটো ভল্টাইক (পিভি) গ্রিড-কানেকটেড পাওয়ার জেনোরেশন প্লান্ট অ্যাট কাপ্তাই’।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো, ৯০ কোটি টাকার ‘বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্প এবং ৫০ কোটি টাকার ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রণয়ন এবং সংরক্ষণ’ প্রকল্প।