জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ডেকে ‘রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা’ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ওই বৈঠক শেষে শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, আমরা তার ওপর আস্থা রাখতে পারি। উনি আমাদের হতাশ করবেন না।” “আমাদের একটাই দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ। আমরা উনাকে স্পষ্টভাবে বিষয়টি জানিয়েছি”, যোগ করেন তিনি। গত ৯ জানুয়ারি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ ‘উপাচার্যপন্থী’ ছাত্রলীগের হাতে খুন হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একপ্রকার অচল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করলেও শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করে এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ধাপে ধাপে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘শিক্ষক সমাজ’। একই দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বকুল সভাকক্ষে বৈঠক শুরু হয়, চলে প্রায় এক ঘণ্টা। অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক সমাজের ১২ জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে অধ্যাপক নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি, সেহেতু তাকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলেছেন।” এই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করবেন কি না জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের এই নেতা বলেন, “আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে আলোচনা করব। আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব, কি করা যায়।