আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। কারণ তারা নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, সেজন্যই আওয়ামী লীগকে বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে এবং এখনও সেই ষড়যন্ত্র চলছে।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন তিন নেতার মাজারে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (সিপিইউ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশন (সিপিএ)’র মত সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সংসদীয় গণতান্ত্রিক বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা স্বস্তি দায়ক পরিবেশে এ সম্মেলন দু’টিতে যোগদান করে দেশের গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির প্রশংসা করেছেন।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আপনারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি। এতে দেশের গণতন্ত্রের কি দোষ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে নির্বাচন বানচাল করতে সব কিছুই করেছে। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার নামে মানুষ হত্যা করেছে, নির্বাচন কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সহিংসতা, নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস করা কি গণতন্ত্র?
সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরোদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্ব গঠিত যুক্তফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোন জোটকে আমরা অভিনন্দন জানাই। কারণ এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই, আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। আরো নতুন নতুন জোট ও দলের সমন্বয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমরা ইউনেবল প্রার্থীকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেব। যে প্রার্থী জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য তাকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করা হবে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এছাড়াও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।