পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে হরতাল ডাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
একজন অভিভাবক হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দের করা রিটের প্রাথামিক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে হরতাল না দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন তারা।
রিটকারী জানান, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলেছে আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ব্যরিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, পুলিশের মহাপরিদর্শককেও তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইউনুস আলী তার আবেদনে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দেওয়ার ওপর অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চাইলেও আদালত তাতে সাড়া দেয়নি।
বুধবার শুনানিতে আদালত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ১৫ জনকে ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। এদের মধ্যে মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ড. এম জহির, অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, কামালুল আলম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন রয়েছেন।
আদালত বলেছে, হরতাল করা মৌলিক অধিকার এবং পরীক্ষা দেওয়াও মৌলিক অধিকার। এ দুই মৌলিক অধিকারের সামঞ্জস্য রক্ষা কীভাবে সম্ভব- সে বিষয়ে আইনগত পরামর্শ দেবেন এই আইনজীবীরা।
‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে বিএনপি গত ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল এবং ২৯ ও ৩০ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করে। ফলে ওই দিনগুলোর এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। রিটকারী ইউনুস আলীর মেয়েও এবার ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।