দেশব্যাপী বিএনপির টানা দুই দিন হরতাল থাকার কারণে পাইকাররের কদর বাড়ালে ও বিপাকে পড়েছে চাষীরা।
চারদিক থেকে চাষীদের ক্ষতিপুরণ দিতে হয়েছে । যেমন কাঁচা সবজি একটি নির্দিষ্ট সময়ে না তুলতে পারলে তা ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যায়।
আবার টানা দুই হরতালের কারণে সবজি তুলতে পারেনি তার উপর পরিবহন খরচ বেশি দিতে হয়। আবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে সব পাইকার আসে তারা এখনও ভাল করে আসতে পারেনি ।
যে সব পাইকার এসেছে তারা পাচ্ছে জামাই আদর। রাজধানীর কাঁচা বাজারে হরতাল পরবর্তী সময়ে কাঁচা সবজির দাম কমেছে
টাঙ্গাইলের করলা চাষী মতিয়ার বলেন, হরতালের আগে যে করলা বিক্রি করেছি ৩০ টাকা কেজি আজকে তা বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১৮ টাকা কেজি দরে।
কারণ দুই দিন হরতার থাকার কারনে সবাই হুমড়ি খেয়ে আইয়া(এসে) পড়ছে বাজারে কিন্তু পাইকার কম তাই সবজির দামও কম।
টানা দুই দিন হরতার থাকার কারনে সবজির আমদানি বেড়েছে ।সবাই যেন একসাথে প্রবেশ কতরেছে ঢাকা শহরে সেই চিত্র দেখা গেল রাজধীর কাওরান বাজারে।
তিনি আরো বলেন হরতালের কারণে এখন চাষীদের যানবাহনের চাহিদা থাকায় তারা ও দাম বাড়িয়েছে টাঙ্গাইল থেকে ট্রাকের ভাড়া নিচ্ছে ৫ হাজারের জায়গায় ৭ হাজার টাকা ।
তিনি বলেন এর হরতালের কারণে অনেক করলা ক্ষেতে ফাটতাছে পচতাছে তাই দাম যাই পাইনা কেন আমাদের বেচন লাগবে।
রাজবাড়ি বালিয়া কান্দির কলা চাষী ফেরদৌস মন্ডল জানান, আগের মত দাম নেই হরতালের কারণে ।
তিনি জানান, গাড়ি ঘোড়া আসপার (আসতে) পারে না। হরতাল থেমে যাওয়ার কারনে সবাই ফসকরে (দ্রুত) ঢুকে পড়ে একসাথে কাঁচাবাজারে।
তিনি জানান, এখন কলার হালি বিক্রি করছি মাত্র ১৫ টাকা হালি, হরতালের আগে যার দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ হালি।
বাজর ঘুরে একই চিত্র দেখা গেল যে প্রায় সব সবজির দাম কমেছে ঢেড়স ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, এখন এর দাম মাত্র ১৪.৫ টাকা কেজি, কিন্তু হরতালের আগে এর দাম ছিল ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজি।
হরতাল চলাকালে যে পাইকারের কদর বেড়েছে তা নিজ মুখে স্বীকার করলেন এক জন পাইকার । তিনি জানান পাইকারের সংখ্যা কম থাকায় আমাদের এখন জামাই আদর।