রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের ফলে কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায় নয় বরং সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্য, ঐক্য, সম্প্রীতি ও শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হবে।
৩০ নভেম্বর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের আগমন উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
পোপ ফ্রান্সিস-এর বাংলাদেশে আগমনকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিতে জাতিতে যখন সংঘাত, পারস্পরিক অবিশ্বাস তখন সম্প্রীতি ও শান্তি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহাপূত পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফর একটি স্মরণীয় ঘটনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত খ্রিস্টানগণ দেশের আর্থ-সামাজিক ও জনহিতকর কাজে অবদান রেখে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসেবার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সমবায় সমিতির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যদূরীকরণে তাদের অবদান প্রশংসনীয়।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আবহমান কাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ কালোত্তীর্ণ ভাবধারার আলোকে বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ পারস্পরিক সহাবস্থানের যে নিদর্শন স্থাপন করেছে তা বিশ্বব্যাপী সম্প্রীতি ও শান্তির উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর পরই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে যে সব দেশ স্বীকৃতি প্রদান করেছিল ভ্যাটিক্যান তাদের অন্যতম। পোপ ফান্সিসের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে ভ্যাটিক্যান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশে মহাপূত পোপ ফ্রান্সিসের সফর সফল হোক, রাষ্ট্রপতি এ কামনা করে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং ব্যক্তিগত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করেন।