তিনদিনের সফরে মিয়ানমারে পৌঁছে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
ওই বৈঠকে মিন অং হ্লেইং দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য হয়নি। সেই সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ‘মহান দায়িত্ব’ নিয়ে পোপ আলোচনা করেন। ভ্যাটিকান বলছে, আর্চবিশপের বাসায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ছাড়াও মিয়ানমারের ব্যুরো অব স্পেশাল অপারেশনের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
রাতে সেনাপ্রধানের ফেসবুক পোস্টে দেখা গেছে, রাখাইন রাজ্যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য হয়নি বলে পোপকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তার কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, জেনারেল মিন পোপকে জানিয়েছেন যে, দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে।
তবে এসবের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়নি। মিয়ানমার সফরে পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে আগেই পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এর আগে সোমবার পোপ মিয়ানমারে পৌঁছালে হর্ষধ্বনির মাধ্যমে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়।
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এমন এক সময়ে মিয়ানমার সফর করছেন যখন দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নিধনের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। সেনা প্রধানের পর মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করবেন পোপ। এরপর তিনি বাংলাদেশ সফরে যাবেন।