বাংলাদেশ সচিবালয়ে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। আবেদনের কিছুক্ষণ পর রিজভীকে আদালতে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কিশোর শীল।
জামিন শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপি নেতা সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহমিয়া মিয়া অর্ধশতাধিক আইনজীবী। রুহুল কবির রিজভীকে আদালতে হাজিরা করা হয়েছে।
সোমবার হরতাল শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফেরার পথে কাকরাইল মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাড়ির গ্যারেজে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় তিনি ৩ নম্বর আসামি।
গ্রেপ্তারের কিছু আগেই দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী। সম্মেলনে তিনি বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ওই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও নিন্দা জানান তিনি।
রোববারের হরতালে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নামে রাজধানীর শাহবাগ ও তেজগাঁও থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
একই মামলায় সোমবার বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেপ্তার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
রিজভী, রতন ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাদেক হোসেন খোকা, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির ২৮ জন নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, সহিংসতার আশঙ্কায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১০/১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।