বাংলাদেশ সফরকালে পোপফ্রান্সিস সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চ।
৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোপফ্রান্সিস-এর বাংলাদেশ সফরের মূলভাব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে “সম্প্রীতি ও শান্তি”।
বাংলাদেশ কাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে পোপ ফ্রান্সিসের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সর্বশেষ প্রস্তুতি বিষয়ে অবগত করার লক্ষ্যে সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ আর্চবিশচ হাউজে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর প্রেসিডেন্ট কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি. রোজারিও।
তিনি বলেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের সফরের দু’টো দিক রয়েছে, ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার সফর রাষ্ট্রীয়, আবার কাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু ও সর্বপ্রধান ধর্মপাল হিসেবে তাঁর সফর হবে ধর্মীয় বা পালকীয়’।
তিনি জানান, স্থানীয় কাথলিক চার্চ এই সফরের মূলভাব হিসেবে নির্ধারণ করেছেন “সম্প্রীতি ও শান্তি”।
কার্ডিনাল প্যাট্ট্রিক ডি রোজারিও বলেন, ‘পোপ এদেশের জনগণের জীবন-বাস্তবতার আলোকে অনেক সুন্দর ও মঙ্গলজনক দিক তুলে ধরবেন। পাশাপাশি দেশের যুব ও ছাত্র সমাজকে নতুন স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করবেন। মানবতা, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য পরামর্শ দেবেন, উৎসাহিত করবেন, সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা ঘোষণা করবেন’।
বাংলাদেশ সফরকালে এদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক বিষয়ই বিশ্বজগত ও বিশ্ববিবেকের কাছে পোপ ফ্রান্সিস আহ্বান জানাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশপ সম্মিলনীর সহসভাপতি ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সেক্রেটারী ও চট্টগ্রামের আর্চবিশপ মোজেস কস্তা। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন মিডিয়া কমিটির সমন্বয়কারী ফাদার কমল কোড়াইয়া।