প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সৎ ও কঠোর পরিশ্রমী নেতা নির্বাচিত হওয়ায় মন্ত্রিসভা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে সোমবার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘পিপলস এন্ড পলিটিক্স’ পাঁচটি ক্রাইটেরিয়া পূরণকারী ১৭ জন বিশ্ব নেতার মধ্যে শেখ হাসিনাকে তৃতীয় সৎ নেতা হিসেবে মনোনীত করেছে। ১৭৩টি দেশের নেতৃবৃন্দ থেকে এই ১৭ জনকে বাছাই করা হয়।
গবেষণা সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের চতুর্থতম কঠোর পরিশ্রমী নেতা হিসেবেও নির্বাচন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৭ স্কোর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ৮৫ স্কোর পেয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এমা সোলবার্গ। ৮১ স্কোর পেয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।
পাঁচটি ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সততার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে : বিদেশী ব্যাংকে কোন একাউন্ট না থাকা, ক্ষমতায় আসার পর ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকা, গোপন সম্পদ না থাকা, সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ না থাকা এবং দেশের জনগণকে নিয়ে চিন্তা করা।
সম্প্রতি প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, বিদেশে শেখ হাসিনার কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই। পাশাপাশি বেতনের বাইরে তাঁর অতিরিক্ত কোন আয়ও নেই।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, শেখ হাসিনার গোপন সম্পদ নেই। দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সৎ মনে করে।
মন্ত্রিসভা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ রিজোয়ানা সিদ্দিককে অভিনন্দন জানিয়ে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। তিনি ওয়েস্টমিনিস্টারে ‘লেবার নিউকামার এমপি অব দ্য ইয়ার’ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন সিমন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী এবং শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপের কাছে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।