বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষকে (বিএমডিএ) একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় এর খসড়া আইন অনুমোদন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তাঁর কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর খসড়াটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বিফ্রিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিএমডিএ একটি রেজুলেশন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, কারণ এটি পরিচালনায় কোনো আইন নেই। প্রতিষ্ঠানটি একটি সরকারি রেজুলেশন দ্বারা এখন পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সচিব বলেন, একটি কর্তৃপক্ষ হলো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান যেটা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, বিদ্যমান বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার পরিবর্তে সমগ্র রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ বিএমডিএ’র অধীনে থাকবে।
কর্তৃপক্ষের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বিবেচনায় বিএমডিএ’র এলাকা সম্প্রসারিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আলম বলেন, খসড়া আইনে বিএমডিএর কার্যক্রম পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে অনুপস্থিত ছিল।
বিএমডিএ’র কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে তারা নীতিমালা তৈরি করবে।
এই কাউন্সিল গঠনের জন্য ১৭টি বিভিন্ন বিভাগ থেকে সদস্য নেয়া হবে। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ, সচিবদের মধ্যে- অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি, পরিবেশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পানি সম্পদ এবং বিএমডিএ চেয়ারম্যান, বিএডিসি চেয়ারম্যান, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগীয় কমিশনার থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিএমডিএ চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যান করে এতে ১১ সদস্যের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে এবং বিএমডির ‘সচিব’ নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিএমডিএর কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারী অন্যান্য কর্তৃপক্ষের মতো স্বাভাবিক দায়িত্ব সম্পাদনের সঙ্গে এটি নীতি নির্দেশিকা প্রদান ও সরকারি অনুমোদন লাভের পর তহবিল সংগ্রহ করবে।
পাশাপাশি, এটি বার্ষিক আয় এবং ব্যয় হিসাবও রাখবে, আর্থিক বছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেবে। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ প্রতিবছর অন্তত একবার এবং বোর্ড প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার করে বৈঠক করবে।