প্রাথমিকভাবে ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণের চেক দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে (পিবিআরএলপি) ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে। ১৯৮২ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সোমবার শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা হাট সরকারি বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের চিফ রিসেটেলমেন্ট কর্মকর্তা এএম সালাহউদ্দীন, ডর্পর প্রতিষ্ঠাতা এএইচ নোমান এবং ক্ষতিগ্রস্থ মো. বাবুল মোল্লা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারি সংস্থা ডর্প ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্পে ৮২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ৩ হাজার ৫৪৮টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার রয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য মোট ৩৫৮ দশমিক ৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, এ দেশের অন্যতম সমস্যা দারিদ্র বিমোচন। এটা করতে হলে দরকার অবকাঠামো উন্নয়ন। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এটি একটি বৃহৎ ও জটিল প্রকল্প। রেল লাইন কোন কোন স্থান দিয়ে যাবে, সেই অ্যালামেন্টটা আমি প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। কাজেই প্রথম থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল কীভাবে কম ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা যায়। আমরা জানি যিনি ঘর-বাড়ি সবকিছুই হারান, তাকে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় না। তার ক্ষতি থেকেই যাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ বলেন, এ প্রকল্পের কারণে অর্থনৈতিক যে গতি বাড়বে, তা হয়তো আমরা যারা বৃদ্ধ রয়েছি তারা অল্পই ভোগ করতে পারব; কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক অনেক এগিয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্থ বাবুল মোল্লা বলেন, আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তারা যেন রেলের টিকিট, টোলের বিষয়ে বিশেষ সুবিধা পাই সে বিষয়টি দেখার দাবি জানাচ্ছি। এখান দিয়ে দূর-দূরান্তে বড় বড় গাড়ি, ট্রেন যাবে; কিন্তু আমরা কী পাব? আমরা ক্ষতিগ্রস্থ, ক্ষতির মধ্যেই পড়ে থাকব। তাই বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।