ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি বাতিল করাসহ আট দফা দবিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করবে। সংগঠনটি বলছে, এই সময়ের মধ্যে যদি তাদের দাবি পুরণ না করা হয় তবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার সিএনজি ধর্মঘট শুরু করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, অনেক গণমাধ্যমে ২৭ নভেম্বর ধর্মঘটের কথা এসেছে, প্রকৃতপক্ষে এটি আগামী ২৭ ডিসেম্বর হবে। এর আগে একই দাবিতে ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশ করা হবে। ৩ ডিসেম্বর জাতীয় শহীদ মিনার থেকে জমায়েত হয়ে বুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। ১০ ডিসেম্বর বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করা হবে।
দুলাল বলেন, সিএনজিগুলোর মেয়াদ ছিল নয় বছর। অনেক আগেই এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু মালিকরা বিআরটিএর সাথে যোগসাজশ করে তা তিনবার মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে। মালিকরা আবারও এই সিএনজিগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিপুল অর্থ আদায় করছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজিগুলো একেকটি চলন্ত বোমা উল্লেখ করে দুলাল বলেন, সিএনজিগুলো লক্কর ঝক্কর হয়ে গেছে। এগুলো রাস্তায় চালাতে গেলে প্রতিনিয়তই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি সিএনজি এখন একেকটি চলন্ত বোমায় পরিণত হয়েছে, এই চলন্ত বোমা নিয়ে আমরা রাস্তায় চলতে চাই না।
এক প্রশ্নের জবাবে দুলাল বলেন, আসলে আমরা উবার, পাঠাওসহ অ্যাপ ভিত্তিক কোনো সেবার বিরোধিতা করছি না, এগুলোকে সরকারি একটা নীতিমালার আওতায় আনা হোক। আমরা নিজেরাও তো অ্যাপে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
সিএনজি ধর্মঘট নিয়ে রাজধানীর মানুষ ব্যঙ্গাত্মক নানা মন্তব্য করছেন। ফেসবুক পেজে অনেকেই আজীবনের জন্য সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট করার কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পেজ খোলা হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আট দফা দাবি হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা অপসারণ করে নতুন অটোরিকশা আনা, ঢাকায় পাঁচ হাজার ও চট্টগ্রামে চার হাজার অটোরিকশা চালকদের নামে দেয়া, পরিবহন আইনে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা বাতিল করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের সময় ব্যবহারিক পরীক্ষা বন্ধ করা, সরকার নির্ধারিত জমার টাকা ঢাকায় ৯০০ ও চট্টগ্রামে ৬০০ টাকা বাস্তবায়ন করা, অবৈধ পার্কিংয়ে মামলা না দেওয়া, ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা ঢাকা জেলার সব জায়গায় চলাচল করতে দেওয়া।