পাকিস্তানের রাজধানীতে ইসলামপন্থীদের বিক্ষোভ-সহিংসতা দমাতে রোববার সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান এই বিক্ষোভে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে।
এর আগে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ধর্মঘট ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা চালায়। শনিবারের ওই সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধর্মঘট চলছিল।
খবর এএফপি’র।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানো গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে মারে।
শনিবারের ওই সহিংসতায় অন্তত ছয় জন নিহত ও প্রায় ১শ ৯০ জন আহত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী শপথ থেকে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কথা বাদ দিয়ে আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ ধর্ম অবমাননা (ব্লাসফেমি) করেছেন বলে অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক এই আন্দোলন চালাচ্ছে।