প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের করা সমঝোতা চুক্তি একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য।
রোববার সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিশ্বের ৫৮টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘মানুষ ও শান্তির জন্য কূটনীতি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
‘সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও। বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিবিআইএন চুক্তি করেছি। ভারত-চীন-মিয়ানমারের মধ্যেও যোগাযোগ স্থাপনের চুক্তি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি।’
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে হবে। আমরা নিজের দেশের মানুষের ভাগ্যের যেমন উন্নয়ন করতে চাই, তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলোর মানুষেরও। সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, তবেই উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
কূটনীতিকদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে, দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। কীভাবে দেশে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় তাও দেখতে হবে।
প্রবাসী বাঙালিদের সমস্যা সমাধানে তৎপর হওয়ার জন্য কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রবাসীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখুন।
প্রথমবারের মতো বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে এ দূত সম্মেলনের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।