রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুই দিনের সফরে আজ কক্সবাজার যাচ্ছেন। সেখানে তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং বাংলাদেশ নেভির একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বাসস’কে বলেন, ‘আবদুল হামিদ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গীদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন’, যারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক চরমভাবে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি কক্সবাজার সফরের সময় রোহিঙ্গা জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন এবং তাদের পালিয়ে আসার কাহিনী শুনবেন।
রাষ্ট্রপতি এমনই এক সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন, যখন বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত, ক্ষুধার্ত এবং কেউ কেউ বন্দুকের গুলি, চাকু, আগুন ও স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র জানায়, এর আগে বিভিন্ন সময় ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ নেভির একজন মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রপতি হামিদ পরদিন সোমবার কক্সবাজারের ইনানী বীচ সংলগ্ন হোটেল রয়েল টিউলিপে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নৌবাহিনী সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস)-এর আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়ার (আইএমএমএসএআরএফইএক্স-২০১৭) উদ্বোধন করবেন।
তিনি জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস’কে জানান, ৯টি পর্যবেক্ষক দেশসহ প্রায় ৩২টি দেশের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, নৌপ্রধান, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মেরিটাইম বিশেষজ্ঞগণ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
রাষ্ট্রপতি পরের দিন বিকেলে বঙ্গভবনে ফিরবেন।