মালিতে পাল্টা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা

মালিতে পাল্টা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা

পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত রাষ্ট্র মালিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় রাজধানী বামাকোতে অভ্যুত্থানের পক্ষ বিপক্ষের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কর্মীরা।

তবে মালির সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে তাদের অনুগত বাহিনী অভ্যুত্থানবিরোধীদের হটিয়ে দিয়েছে। রাজধানী বামাকোর নিয়ন্ত্রণও নিজেদের হাতে আছে বলে এ সময় দাবি করে তারা।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে জানানো হয়, পাল্টা অভ্যুত্থানকারীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম, বিমান বন্দর এবং সেনা ব্যারাকগুলো এখনও অভ্যুত্থান সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

সামরিক অভ্যুত্থানে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত মালির সাবেক প্রেসিডেন্ট আমাদি তুমানি তুরের অনুগত সেনারা এই পাল্টা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

মঙ্গলবার দিনের প্রথমভাগে প্রচারিত টেলিভিশন বক্তব্যে সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বাকারি মারিকো বলেন, উচ্ছেদ হওয়া প্রেসিডেন্টের অনুগত প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে।

বাকারি মারিকো বলেন , অভ্যুত্থান বিরোধী সেনারা রাজধানীর বামাকোর বিমানবন্দরে হামলা চালায়। একই সময় তারা বামাকোর উত্তরে অবস্থিত সামরিক জান্তার প্রধান অবস্থান কাতি সেনা ঘাঁটি লক্ষ করেও হামলা চালায় বলে দাবি করেন তিনি।

তবে রাজধানী বামাকোর কোনো কোনো স্থান থেকে এখনও ভারী গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সংঘর্ষে বেশ কিছু ব্যক্তি হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ‘রেড বেরেট’ নামে অভিহিত অভ্যুত্থান বিরোধী প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সেনারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে প্রবেশ করেছিলো বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই এই সম্প্রচার ভবনটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সামরিক জান্তা সমর্থিত সেনারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, বামাকোর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে এবং নগরীর অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

গত ২২ মার্চে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর একটি অন্তর্বতীকালীন সরকারের হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর করে সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষ। তবে দেশটির সামরিক বাহিনীসহ অন্যান্য বিভাগে অভ্যুত্থানের নেতারাই পর্দার অন্তরালে থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে বলে ধারণা করা হয়।

আন্তর্জাতিক