নতুন বসতিকে রক্ষা করতে লেবানন সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে ইসরায়েল। এ প্রচীর দুই দেশের মধ্যবর্তী সীমান্তের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর একজন নারী মুখপাত্র।
তিনি জানান, সোমবার থেকে প্রাচীর নির্মাণ শুরু হয়েছে। দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউএআইএফআইএল) এবং লেবানন সেনা বাহিনীর সহযোগিতায় এ প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য সীমান্তে যে কোনো ধরনের উত্তেজনা ও সহিংসতা এড়ানো।’
লেবানন সীমান্তে মেতুল্লায় দখলি জমির ওপর সম্প্রতি নির্মিত নতুন বসতির নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলি সেনা বাহিনী ওই এলাকায় প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা গত জানুয়ারিতেই দিয়েছিল।
ইসরায়েলের সরকারি বেতার জানিযেছে, প্রাচীরটি দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন হতে পারে। সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলি শহর মেতুল্লাকে লেবাননের দিক থেকে যে কোনো হামলার হাত থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে প্রাচীরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, সীমান্তে সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে একপ্রকার যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তবে সীমান্তে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ইউএআইএফআইএল এর মধ্যস্থতায় দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা নিয়মিত বৈঠকে বসেন।
২০০৬ সালে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের ভয়াবহ যুদ্ধ বাঁধে। এতে লেবাননে এক হাজার ২শ’ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। অপরদিকে ইসরায়েলে ১৬০ জন নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই সেনা সদস্য।