বিপিএলের গত আসরের ফাইনালে হারের একটা প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ছিল রাজশাহী কিংসের সামনে; কিন্তু সেই ঢাকা ডায়নামাইটস যে এবার আরও শক্তিশালী! যে দলটিতে রয়েছেন শহিদ আফ্রিদি, কাইরণ পোলার্ড, এভিন লুইস, কুমার সাঙ্গাকারা, সুনিল নারিনের মত বিশ্বখ্যাত তারকারা। সঙ্গে সাকিব আল হাসান তো আছেনই। সেই দলটিকে হারায় সাধ্য কার!
মাঠের খেলায়ও সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমে স্যামি-মুশফিকদের রীতিমত উড়িয়ে দিলেন আফ্রিদি-সাকিবরা। ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দিয়ে রাজশাহী কিংসকে ১৩৩ রানেই অলআউট করে দিলো ঢাকা। বলতে গেলে একাই রাজশাহীকে হারিয়ে দিলেন আফ্রিদি। আজও বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তার নেয়া ৪ উইকেটই রাজশাহীকে হারিয়ে দিয়েছে।
আফিদির সঙ্গে বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেছিলেন আবু হায়দার রনি এবং সাকিব আল হাসান। আগেরদিন সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিং করা জাকির হাসানই কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন ঢাকার সামনে। ২৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছিলেন জাকির হাসান।
গত বছর বিপিএলের ফাইনালের পর আজই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস এবং রাজশাহী কিংস। কিন্তু এক বছর পর এসেও ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি রাজশাহী। হারলো ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে।
দুই ক্যারিবীয় এভিন লুইস ও কাইরণ পোলার্ড ঝড়ে চলতি আসরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা। ২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহীর কিংসের ব্যাটসম্যানেরা। ফলে ১৮ ওভার ২ বল খেলে মাত্র ১৩৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় ড্যারেন স্যামি আর মুশফিকুর রহীমের দল।
ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটিংয়ের সময় যেমন রাজশাহীর ফিল্ডার ক্যাচ মিস করেছেন, রাজশাহীর ব্যাটিংয়ের সময় চিত্রটা ছিল পুরো উল্টো। দুর্দান্ত সব ক্যাচ ধরে রাজশাহীকে দ্রুত অলআউট করার ক্ষেত্রে দারুণ ভুমিকা রাখেন ঢাকার ফিল্ডাররা।
রাজশাহীর হয়ে জাকির হাসান ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন ড্যারেন স্যামি। মুমিনুলের ১৬ আর মিরাজের ১০ ছাড়া রাজশাহীর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।