চুল দাড়ি পেকেছে মনটা কিন্তু নবীন

চুল দাড়ি পেকেছে মনটা কিন্তু নবীন

চুল, দাড়ি পাকা মন্ত্রী নিজেকে ছেলে দাবি করে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো বুঝতে পারলেন ছেলে দাবি করায় শ্রোতাদের কে আবার কী মনে করে বসে! তাই সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘মনটা কিন্তু আমার খুব নবীন আছে। চুল দাড়ি একটু পেকেছে, চুল পড়ে গেছে তাতে কি? এখনও তো অল্প বয়সের মেয়েরা আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের এমন হাস্যরসাত্মক বক্তব্যে উপস্থিত শ্রোতারা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। বাস্তব জীবনে তিনি একজন গুণী অভিনেতাও। ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের বাকের ভাই চরিত্রটি আজও অক্ষয় হয়ে আছে দর্শকদের কাছে। নিজেকে আজ ছেলে দাবি করে বাকের ভাই যেন নতুনভাবে হাসালেন শ্রোতাদের।

‘এখনও তো অল্প বয়সের মেয়েরা আমার সঙ্গে ছবি তোলে’ বলেই একটু আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘তবে আমার নামটা ধরে কেউ ডাকে না, এটা একটু সমস্যা।’ নাম ধরে না ডাকার আক্ষেপের কথা অকপটে স্বীকার করায় শ্রোতাদের হাসি আরও বাড়িয়ে দেয়।

সমাজের কতিপয় জয়িতা নারীর গল্প নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে হার স্টোরিজ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। বেশ কেয়কজন লেখকের সংকলনে বইটি সাজানো, যার নাম দেয়া হয় ‘হার স্টোরিজ, এডভেন্টারেজ অব সুপার গার্লস’।

অনুষ্ঠানে শুরুতে জয়িতারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, যাদের মধ্যে ছিল, নাঈমা হক, তামান্না-ই-লুৎফী, নিশাত মজুমদার, মাবিয়া আক্তার, মাদিহা মুরশিদ।

নারীর অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকের জীবনে মা হলেন একজন অসাধারণ ও মহিষী নারী যার প্রভাব আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একজন নারী যে কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন, সে কাজটা তিনি ধরে রাখতে পারেন। তবে এজন্য তার জীবনসঙ্গীর একটু ইতিবাচক ভূমিকা থাকা উচিত। তিনি যদি সহযোগিতা করেন, দুইজনে মিলে যদি কাজ ভাগাভাগি করে নেন তাহলে সেখানে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব বেদনার সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই যে, আজকে শিশু নির্যাতন, শিশু হত্যা, শিশু ধর্ষণ পাশাপাশি নারী নির্যাতন, নারী হত্যা যেভাবে বেড়েছে, তাতে মা-বাবারা যে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একটু শঙ্কা অনুভব করেন না তা তো নয়। সেটি বাস্তবতা। আমরা চাই না যে এ কারণে আমাদের সন্তানরা ঘরে বসে থাকুক, আমরা চাই আমাদের সন্তানরা মুক্ত সমাজে মুক্ত মানুষ হিসেবে জ্ঞান অন্বেষণে ঘুরে বেড়াক, মুক্তচিন্তার অধিকারী হোক।’

বাংলাদেশ