সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের অর্থ কেলেংকারি ঘটনা তদন্ত সম্পর্কে যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটি আমার কাছে পাঁচ কার্যদিবস বাড়তি সময় চেয়েছে। আমি সময় দিয়েছি। তারপরও যদি তদন্ত কাজ শেষ না হয় তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
সোমবার দুপুরে রেলভবনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
অর্থ কেলেংকারির ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “দুদকও এ ঘটনা তদন্ত করছে। দুদক একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।“
রেলের শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেখানে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে সেখানে তদন্ত করা হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।“
তিনি জানান, রেল সেক্টরে শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ পর্যন্ত কয়েকজনকে ক্লোজ ও সাসপেন্ড করা হয়েছে।“
রেলওয়ের জমি বেদখল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “রেলওয়ের অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। দখলকৃত জমি উদ্ধারে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।“
এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের নিখোঁজ গাড়িচালক আলী আজম সম্পর্কে সাংবাদিকরা যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আলী আজমের বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে জিজ্ঞেস করুন। তদন্ত কমিটি তো আর আলী আজমকে লুকিয়ে রাখেনি।“
সোমবার বেলারুশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এফ এলিনিকের সঙ্গে রেলভবনে বৈঠক করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে বেলারুশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “রেল সেক্টরে বেলারুশ সেবা ও প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তাদের সে অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগানো যায় কি-না এসব বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।“
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল বেলারুশের আমন্ত্রণে সেদেশে যাবে এবং সেদেশের প্রযুক্তি ও সেবা আমাদের দেশে কাজে লাগানো যায় কি-না তারা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন।“
প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল (সোমবার) সকাল ১০টায় আলী আজমের জন্য তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু ৯ এপ্রিল রাতে বিজিবি সদর দপ্তরে অর্থ কেলেংকারির ঘটনার পরদিন ১০ এপ্রিল থেকে আজম নিখোঁজ রয়েছেন।
তাকে রেল ভবনে উপস্থিত হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও তার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে গত রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের। তবে ‘আলী আজম রেল ভবনে আসছেন’ এমন সংবাদে সোমবার সকাল থেকেই রেলভবনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ আলী আজম না আসায় খোদ রেল কর্মকর্তাদের মধ্যেও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।