ঢাকা নার্সিং কলেজের হোস্টেলে এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া রহমান সুরভী।
নার্সিং হোস্টেলের একাধিক ছাত্রী জানান, আজ (বুধবার) সকালে সুরভীর ক্লাস পরীক্ষা ছিল। সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে সে বাথরুম যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পরও বাথরুম থেকে না বের হওয়ায় সহপাঠিরা দরজা কড়া নাড়তে থাকে। তবুও সে দরজা না খোলায় সহপাঠিরা হাউজ কিপারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেয়।
নার্সিং হোস্টেলের হাউজ কিপার ইসমত আরা জাগো নিউজকে জানান, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টায় তারা খবর পান নার্সিং হোস্টেলের নতুন ভবনের ৫ম তলায় ৫০৬ নম্বর কক্ষের বাথরুমে এক ছাত্রী আটকা পড়েছে। সহপাঠিরা দরজায় বার বার কড়া নাড়লেও সে দরজা খুলছে না। পরে তারা গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে কমোডের উপর পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে পানি ছিটানো হয়। এরপরও কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুমাইয়া রহমান সুরভী বিএএসসি নার্সিং প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগা এবং বাবার নাম আশরাফুল ইসলাম।