বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, একটি জাতির উন্নয়নের একমাত্র উপায় হলো শিক্ষা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর বলা হলেও আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় তারা আজ অবহেলিত ও বঞ্চিত। বিশেষ করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন ক্রটি রয়েছে তেমনি শিক্ষকদের মধ্যেও বেতন বৈষম্য রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল অসঙ্গতি ও বাধা দূর করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন একমাত্র শিক্ষকরাই। তাই আমাদের চাকরি অবিলম্বে জাতীয়করণ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেসকরারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করা, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদান, চাকরির বয়স ৬৫ বছরে উন্নতিকরণ সহ অন্যান্য।
এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা না এলে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট ও কালোব্যাচ ধারণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবো এবং পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে শিক্ষকরা বিরত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি, মহাসচিব রিয়াজ উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও দক্ষিণের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।