রাজধানীর বনানীতে অফিসে ঢুকে সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অংশ নিয়েছিল চার মুখোশধারী সন্ত্রাসী। তাদের পড়নে ছিল শার্ট প্যান্ট। ‘মুন্সি ওভারসিজ’র মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে ‘টার্গেট কিলিং’য়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বনানী চার নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়ির অফিসে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। সন্ত্রাসীরা মুখোশ পড়ে এসেছিল। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক, স্থানীয় কিংবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অফিস ও এর আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে হত্যাকাণ্ডের ক্লু সংগ্রহের কাজ চলছে।
এদিকে ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোস্তাক (৪২), মোখলেসুর রহমান (৩৮) ও পারভেজ আহমেদ (২৮) ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নিহত সিদ্দিক মুন্সির বাসা উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই মুন্সির বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে তথ্য নিয়েছে পুলিশ। স্বজনরা জানিয়েছে, চাঁদা না দেওয়ায় সিদ্দিক মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় অফিসে আটজন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তারা জানান, হত্যার পর তারা টেবিলের ড্রয়ার থেকে টাকা লুট করে।
নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও বুধবার দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।