টকশো ‘সোজা কথা’ শেষ করে সোজা পথে বাসায় যেতে পারলেন না বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন। `দেশ টিভি`র টকশো ‘সোজা কথা’-য় অংশ নিয়ে টিভিস্টেশনটির সামনে আসামাত্র সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার দিনগত রাত পৌনে একটায় তার ছোট ভাই মুসা কলিমুল্লাহর সামনে থেকে তাকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর সোমবার সকালে রতনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরপর তাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার সকালে আদালতে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
টেলিভিশনে টকশো শেষে বাসায় গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়ার টেবিলে বসার কথা ছিল তার। স্ত্রী নুরে জান্নাত এজন্য তার পথ চেয়েছিলেন।
লাইভ টকশো শেষ হলে স্ত্রী নুরে জান্নাত যখন স্বামীর অপেক্ষায়, তখনই তার কাছে দেবর মুসার ফোন যায়: “ ভাবি ভাইয়াকে (রতন) তুলে নিয়ে গেছে ডিবি।
ডিবি পুলিশ কাউকে ধরলে সোজা তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার কথা। ব্যতিক্রম হয় রতনের বেলায়। এমনকি তার স্ত্রী খোঁজ করতে গেলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা রতন নামের কাউকে চিনি না।“ সারা রাত ধরে চলে স্ত্রীর ছোটাছুটি।
একবার রমনা মডেল থানা, আরেকবার তেজগাঁও থানা ঘুরে আবার ডিবি অফিসে। কিন্তু কেউ সোজা কথাটি সোজা করে বলেননি। সবাই বলেছেন “আমরা কিছুই জানি না।“ রতনের সন্ধান দেওয়ার ব্যাপারে সবার মধ্যে উদাসীন ভাব। “জানি না“ বলেই দায় সেরেছেন।
পরিবারের পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীদেরও সোজা কথা বলেনি ডিবি অফিস। সারারাত ধরে চলে কামরুজ্জামান রতন পরিবারের সঙ্গে মিডিয়াকর্মীদের ছোটাছুটি।
রতনের স্ত্রীর দাবি ছিল: “আমার স্বামীকে একনজর দেখানো হোক। তাহলেই আমি স্বস্তি পাবো।“
সোজা কথা সোজা করে বললেই এতো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও দৌড়ঝাঁপ করার দরকার হতো না। পরিবারের প্রশ্ন, কেন সোজা ছেড়ে বাঁকা পথে হাঁটল ডিবি পুলিশ।
রাতভর নাটক শেষে সকাল আটটায় ডিবির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা রতনকে আটকের কথা স্বীকার করেন।