অবসর ভেঙে ফিরতে বিব্রতবোধ করছিলেন মেসি

অবসর ভেঙে ফিরতে বিব্রতবোধ করছিলেন মেসি

তিনি বিদায় নিলে অার্জেন্টিনা ফুটবল এখন কোথায় থাকতো, বলা মুশকিল। তবে এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লিওনেল মেসি জাদু না দেখালে আর্জেন্টিনার কপালে যে দুঃখ ছিল, সেটা মেনে নেবেন প্রায় সবাই। যিনি না থাকলে দিক-হারা তরীর মত পথ ভুলে যায় দল, তিনিই কিন্তু একটা সময় তুলে রাখতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার আকাশী-সাদা জার্সিটা।

ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে মেসির আর কিছু পাওয়ার বাকি নেই। তবে আর্জেন্টাইন খুদেরাজের বিপক্ষে একটি অভিযোগ বরাবরের, জাতীয় দলের জার্সিতে নাকি সেরাটা দিতে পারেন না। গত বিশ্বকাপে ফাইনালে এসে স্বপ্নভঙ্গ, এরপর কোপা আমেরিকাতেও একই পরিণতি। চিলির বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টি মিস করার পর তো রাগে-অভিমানে আর্জেন্টিনা দলকে বিদায়ই বলে দিয়েছিলেন মেসি।

চারদিক থেকে সমালোচকরা পেয়ে বসেছিল। মেসি তখন ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। আরেকটি বিশ্বকাপে দলকে প্রায় একাই মূলপর্বে তুলে দেয়ার পরও সেই সময়টা ভুলেননি বার্সা সুপারস্টার। তিনি স্বীকার করলেন, আবেগের বশেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন।

এমনকি সবাই মিলে অনুরোধ করার পরও অবসর ভেঙে ফিরতে নাকি ভীষণ বিব্রতবোধ করছিলেন মেসি। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এমনটাই জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘(অবসর) এমন একটা সিদ্ধান্ত ছিল, যেটা আমি ওই মুহুর্তে মাথা গরম করে নিয়েছিলাম। তবে আমি ফিরতে চাই, এটা বলতেও বিব্রতবোধ করছিলাম। (ওই সময় কোচ) বাউজা এবং আমার সতীর্থরা মিলে ব্যাপারটা সহজ করে দেয়।’

বয়সটা ৩০ পেরিয়েছে, এই বয়সে এসে সব কিছু অন্যরকমভাবে উপভোগ করছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৩০, এখন আমি এটা ভিন্নভাবে উপভোগ করছি। আগের চেয়ে ভালোভাবে। মাঠ এবং মাঠের বাইরের প্রতিটি মুহুর্তের সুবিধাগুলো উপভোগ করছি আমি।’

জাতীয় দলে অবদান রাখতে পারেন না, এই সমালোচনা এখন নাকি আর কষ্ট দেয় না মেসিকে। এ সম্পর্কে বার্সা তারকার উপলব্ধি, ‘ আমি এখন জাতীয় দলে অনেক অভিজ্ঞ। অনেকটাই নির্ভার। যখন তারা আমার সমালোচনা করে, আমি এখন এটাকে ভিন্নভাবে নেই।’

খেলাধূলা