ইলিয়াস আলীকে জনসমক্ষে হাজির করা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নামে দেওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ১৮ দল। একই দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নেতারা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
সোমবার বিকেলে হরতালের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ ঘোষণা দেন।
কার্যত নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়ার দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সব সংবাদ সম্মেলন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই করছিলেন।কিন্তু রোববারের হরতালে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পর পর দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই চলে যান ফখরুল। এ কারণে তার পরিবর্তে হরতাল পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনটি করেন যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী।
ফখরুলের মতো তিনিও সদ্য দায়ের হওয়া দুই মামলার আসামি হলেও দলের পক্ষ থেকে তাকেই দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনের দায়িত্ব।
এ সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি ও জনা বিশেক কর্মী কেবল উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কার্যালয়ে।
রিজভী বলেন, “ইলিয়াস ইস্যুকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতেই সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথা বলছেন এবং ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন।“
রিজভী বলেন, “বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেকে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে দাবি করলেও বাস্তবে তিনি ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান।“
তিনি বলেন, “হরতালকে কেন্দ্র করে বর্তমান সরকার ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। পুলিশি ছত্রছায়ায় সরকারের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের উপর হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।“
সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য যতোই গডফাদারের জন্ম দিক না কেন, তারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না।“