ভারত থেকে প্রয়োজনীয় তুলা না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল।
৫ থেকে ৮ মে`র এ সফরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমাবর এ তথ্য জানান।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ৬ মে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
তুলা আমদানি ছাড়াও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান এবারই প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৈঠকে বসছে।
তুলা ছাড়াও মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা ২৫ লাখ ৮০ হাজার মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য সেদেশে পাঠিয়েছে।
মধ্য এশিয়ার দেশটি থেকে বাংলাদেশ তুলার চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ আমদানি করে থাকে। এবার সেখান থেকে আরো তুলা আমদানির কথা বলতেই প্রতিনিধিদল সেদেশে যাচ্ছেন।
এদিকে বাংলাদেশের তুলার চাহিদা মেটাতে রপ্তানির হার নির্ধারণে সরকারি পর্যায়ে চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত। মে মাসের শেষ সপ্তাহে তুলা রপ্তানি নিয়ে ঢাকায় ভারতের সঙ্গে একটি বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে।
বস্ত্র ও টেক্সটাইল শিল্প বাঁচাতে ভারত থেকেতুলা আমদানি বাংলাদেশের জন্য এখন একটি বড় ধরনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত বছরের মতো এ বছরও ভারত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি আপাতত বন্ধ করেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইলস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানাগুলোর বার্ষিক তুলার চাহিদা প্রায় ৩৭ লাখ বেল তুলা। দেশে তুলা উৎপাদন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
ভারত থেকে বাংলাদেশ তার চাহিদার প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ তুলা আমদানি করে।
সর্বশেষ গত ৫ মার্চ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাঁচা তুলা রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তে ভারতের বস্ত্র উৎপাদনকারীরা খুশি হলেও রপ্তানিকারকরা তাদের অসন্তুষ্টির কথা নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৬ লাখ ৭৪৭ হাজার বেল তুলা আমদানি করে। উজবেকিস্তান থেকে আমদানি করে ১৩ লাখ ৯১ হাজার বেল। অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে ৫৯৮ বেল তুলা।