১৩তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। ওভারের পঞ্চম বল। বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। আর স্ট্রাইক পজিশনে রাজশাহীর ওপেনার মুমিনুল হক। খাটো ব্যাটসম্যান দেখে মুমিনুলকে স্লোয়ার দিয়ে বোকা বানাতে চেয়েছিলেন অভিজ্ঞ পেসার মালিঙ্গা। বলটাও ছিল গুড লেন্থের।
দারুণ পেস এবং অসাধারণ সুইং হওয়ার কথা বলটিতে। খেলতে হলে মিড অনেই খেলার কথা; কিন্তু মালিঙ্গাকে অবাক করে দিয়ে পেছনের পায়ে ভর করে মুমিনুল আকাশে তুলে দিলেন বলটা। টাইমিংটাও ছিল চমৎকার। ফলে লং অনের ওপর দিয়ে বল গিয়ে পড়লো সোজা সীমানার বাইরে। একজন ফিল্ডার পেছন পেছনে অনেকদুর দৌড়ে এলেন। কিন্তু বলের নাগাল পেলেন না। ছক্কা। সে সঙ্গে মুমিনুলের হাফ সেঞ্চুরিও।
বিপিএলের এবারের আসরে সিলেট পর্বে মোট ১০টি হাফ সেঞ্চুরি হলো। কোনো সেঞ্চুরি নেই। এই ১০ হাফ সেঞ্চুরিয়ানের মধ্যে নেই কোনো বাংলাদেশির নাম। সর্বোচ্চ ৭৮, লুক রনকির। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৭ রান ছিল নাসির হোসেনের।
ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আক্ষেপটা ঘুচিয়ে দিলেন মুমিনুল হক। টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় নয় বলে যিনি সব সময়ই উপেক্ষার শিকার হয়ে থাকেন, সেই মুমিনুলই মাশরাফি, মালিঙ্গা, রাজ্জাক, বোপারা, জিয়াউর রহমান কিংবা থিসারা পেরেরাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দুরন্ত গতিতে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ৩৪ বলে এসে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করলেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে এর মধ্যে তার ব্যাটে ছিল ৩টি ছক্কার মার। মুমিনুলের দেখাদেখি হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তার ওপেনিং সতীর্থ, কারিবিয়ান ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সও।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ৪১ বলে মুমিনুলের রান ৬০ এবং ৪৮ বলে সিমন্সের রান ৫১। রাজশাহীর সংগ্রহ ১৪.৫ ওভারে ১১৯। জয়ের জন্য আর মাত্র ১৫ রান প্রয়োজন। হাতে পুরো ১০ উইকেট।