চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭। কিন্তু গড় আয়ু যখন ৫০ হলো তখন প্রবেশের বয়স ৩০। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স এখন বাড়বে না কেনো? সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে জনবল (অভিজ্ঞতা ছাড়া) নিয়োগ দেয় না। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তাই চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দরকার।

তারা আরো বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা প্রয়োজন। কারণ উন্নত বিশ্বকে আমরা অনুসরণ করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। তেমনি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করে দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারি।

বক্তারা এক উদাহরণ টেনে বলেন, উন্নত বিশ্বে কোথাও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ নেই। ভারতে ৩৯, শ্রীলংকায় ৪৫, মালোশিয়ায় ৩৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫, সিঙ্গাপুরে ৪০, ফ্রান্সে ৪০, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ ও কানাডায় ৫৯। এছাড়া আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই, শুধু অবসরের আছে। তাই আশা করবো কালক্ষেপণ না করে প্রধানমন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করে হতাশা থেকে আমাদের মুক্তি দেবেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলামিন রাজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সঞ্জয় দাস, সাধারণ সম্পাদক সবুজ ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যানন্দ সরকার, যুগ্ম সম্পাদক হারুন-অর -রশিদ ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মাদ ইলিয়াস প্রমুখ।

বাংলাদেশ