নেপালকে প্রদেশে বিভক্ত করার দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের বিক্ষোভ মিছিলে সোমবার বোমা বিস্ফোরণে চার জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ২০ জন।
স্থানীয় পুলিশপ্রধান বসন্ত রাজ গৌতম জানিয়েছেন, পবিত্র শহর জনকপুরে ১৫০ জনের একটি গ্রুপ বিক্ষোভের জন্য জড়ো হলে কাছেই একটি মোটরসাইকেলে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণস্থলটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।
উল্লেখ্য, শান্তিকালীন সংবিধান প্রণয়নের জন্য পার্লামেন্টকে দেওয়া ডেডলাইন শেষের দিকে। এ সংবিধানে নেপালকে কয়েকটি স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশে (ফেডারেল প্রোভিন্স) ভাগ করার বিধি অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলের নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা। আর সেমাবার একটি গ্রুপ এ দাবিতেই জড়ো হয়েছিল।
এর আগে নেপালকে প্রদেশে বিভক্ত করার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হরতাল হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে সংবিধান প্রণয়ণের জন্য পার্লামেন্টকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
একটি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, একজন বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। বাকি তিন জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। আরো সাত জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে।
সামান্য আহত ২০ জনেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রধান গৌতম জানিয়েছেন, ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
তিনি আরো জানান, সোমবারের তিন ঘণ্টার ধর্মঘটটি ডাকে মিথিলা স্টেট স্ট্রাগল কমিটি। সংবিধানে মিথিলা প্রদেশকে আলাদা করার দাবিতে তারা ধর্মঘট ডাকে।
প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের চরমপন্থী আন্দোলনে নেপালের পরিস্থিতি প্রায় ১০ বছর যাবত অস্থিতিশীল ছিল। তবে ২০০৬ সালে সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আসার পর এখন অনেকটা শান্ত।
আর এর পর থেকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নেপালে বিরল। গত ফেব্রুয়ারি কাঠমান্ডুতে একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে তিন জন নিহত হয়। গত তিন বছরের মধ্যে রাজধানীতে এটিই বড় কোনো হামলার ঘটনা। ইউনাইটেড এথনিক লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউইএলএফ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।