দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৃহস্পতিবার খুলে যাচ্ছে দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এ সেতুটি চালু হলে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণের জন্য গত ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চুক্তিবদ্ধ হয় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন-এফকন। একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। ৯৮৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার প্রস্থের এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
৩ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৪ বছরের মাথায় শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর ১২টি পিলারের মধ্যে ৮টি মেঘনা নদীতে পড়েছে। ভৈরব ও আশুগঞ্জ সীমানায় রয়েছে আরও ৪টি পিলার। ইতোমধ্যে সেতুতে স্লিপার, রেললাইন নির্মাণ ও পাথর বসিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে।
সেতুটি চালু হওয়ার আগে মেঘনা নদীর উপর একটি সেতু থাকায় ভৈরব অথবা পার্শ্ববর্তী তালশহর স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে ক্রসিং দিতে হতো। সেতু দুটি চালু হওয়াতে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশুগঞ্জ এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) আব্দুল হাই জানান, ইতোমধ্যে এ সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়েছে। এ সেতুটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাত্রার সময় অনেকটা কমে আসবে বলেও জানান তিনি।