বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ই-কমার্সের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠন বলছে,গত কয়েক বছরে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা ই-কমার্স খাতে ব্যাপকভাবে এগিয়ে এসেছে।কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার বিকাশে ‘পেমেন্ট সিস্টেম’,লজিস্টিকস, ডেলিভারি এবং নিরাপত্তার দিকটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ণ করা উচিৎ বলে এফবিসিসিআই মত প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘ই-কমার্সের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব মতামত উঠে আসে।
এফবিসিসিআই এবং ফ্রেডরিখ নুউম্যান ফাউন্ডেশন (এফএনএফ) যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে। এতে এফবিসিসিআই পরিচালক এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর পরামর্শক শমী কায়সার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মশালায় গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকনোমিক রিসার্চ প্ল্যাটফর্মের প্রকল্প পরিচালক নুহিন খান। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হোসাইন জামিল এবং এফএনএফ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. নাজমুল হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
নুহিন তাঁর গবেষণা পত্রে দেশের বর্তমান ইকমার্স খাতের সাফল্য এবং ইকমার্স ব্যবসা পরিচালনায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তিনি এক্ষেত্রে ‘সহায়ক নীতিমালা’, হাই-স্পিড ইন্টারনেট, অর্থ পরিশোধে জটিলতা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেন।
কর্মশালার সমন্বয়ক শমী কায়সার ব্যবসা-বান্ধব ই-কমার্স নীতিমালার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে ইকমার্স খাত দেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক খাতের মত ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম। তিনি এক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন এবং সম্ভাবনাময় বাজার চিহ্নিতকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। এফবিসিসিআই অধিভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনকেও ক্রমান্বয়ে ইকমার্স বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।