রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাজনৈতিক ও মানবিক সমর্থন অব্যাহত রাখতে আবারো বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে এক নৈশভোজে ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের সরকার মানবিক কারণে ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ও বিদায়ী সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হামিদ মিয়ানমারে তাদের স্বদেশ ভূমিতে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসন কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা প্রস্তাব ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও যথাযথ মর্যাদা সহকারে মিয়ানমারে অবস্থান কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ সিপিএ সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীতে অবস্থানরত ১৪৪টি দেশের জাতীয় এবং ৪৪টি দেশের প্রাদেশিক সংসদের ৫৫০ জন প্রতিনিধির সম্মানে আজ বঙ্গভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন। ৮ দিনব্যাপী ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে তারা ঢাকা অবস্থান করছেন। ৫২টি দেশ সিপিএ’র সদস্য।
রাষ্ট্রপতি হামিদ নাগরিকত্বসহ সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের রক্ষায় দ্ব্যর্থহীনভাবে সিপিএ নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন এবং নারী ক্ষমতায়নসহ জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলো আমাদের সঙ্গে থাকবে। ঢাকা কমনওয়েলথ পরিবারের সঙ্গে এক সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে কমনওয়েলথের অন্তর্ভূক্ত করেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ সিপিএ সদস্যপদ লাভ করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সিপিএসহ কমনওয়েলথের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত রয়েছে।
নৈশভোজে মন্ত্রী, হুইপ, সিপিএ নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।