কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিএসোসিয়েশন (সিপিএ) মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের চলমান মানবিক সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার ৬৩তম সিপিএ সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে কমনওয়েলথ ভুক্ত সদস্য দেশের সংসদ সদস্যরা এ আহ্বান জানিয়েছেন। সিপিএ’র এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের চার্টার (১৯৪৫), বিশ্বমানবাধিকার ঘোষণা (১৯৪৮), আইপিইউ ১৩৭তম সম্মেলনের রেজুলেশন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের রেজুলেশন ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের আলোকে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব ও সমঅধিকার দেয়া হোক।’
সিপিএ সাধারণ অধিবেশন মিয়ানমার সরকারের প্রতি সে দেশের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিঃশর্তভাবে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে টেকসই প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানায়।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে তাদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে কমনওয়েলথ দেশগুলো মিয়ানমার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে খাদ্য বস্ত্র, আশ্রয়, স্যানিটেশন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে।
কমনওয়েলথভূক্ত রাষ্ট্রগুলোকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার অধিকার প্রাপ্তি, তাদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদান ও রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজ-ভূমি রাখাইনে ফেরত যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জাননো হয়েছে।
সিপিএ সেক্রেটারী জেনারেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন যে তিনি যেন সিপিএভুক্ত সংসদ, জাতিসংঘের মহাসচিব, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এই বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি যেন সিপিএ’র ৬৪তম সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগের বিষয় থাকলে তা উত্থাপন করেন।