যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা এক ভারতীয় নাগরিককে সোমবার ২৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। আল-কায়েদার কাছে অর্থ পাঠানো এবং তার বিচার কাজে নিয়োজিত ফেডারেল বিচারককে হত্যার ষড়যন্ত্র করার দায়ে তাকে এ সাজা দেয়া হয়। খবর এএফপি’র।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভাইসহ গ্রেফতার হওয়া চারজনের অন্যতম একজন ইয়াহিয়া ফারুক মোহাম্মাদ (৩৯)। আরব উপদ্বীপে ইয়েমেন ভিত্তিক আল-কায়েদা নেতা আনোয়ার আল-আওলাকির কাছে ২২ হাজার ডলার পাঠানোয় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। আওলাকি হচ্ছেন মার্কিন বশোদ্ভূত একজন ধর্মীয় নেতা।
মোহাম্মাদ ও অপর দু’জন আওলাকিকে সরাসরি অর্থ দেয়ার আশায় ২০০৯ সালে ইয়েমেনে আসে। আওলাকি আল-কায়েদার প্রভাবশালী নিয়োগদাতাদের অন্যতম। ইয়েমেনে আওলাকির সঙ্গে তাদের সাক্ষাত না হলেও তারা তৃতীয় এক পক্ষের কাছে অর্থ জমা দেয়।
এদিকে বিচার বিভাগ জানায়, ২০১৫ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর মোহাম্মাদ তার বিচার কাজে নিয়োজিত বিচারককে হত্যায় কাউকে ভাড়া করার চেষ্টা করে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জাস্টিন হার্ডম্যান বলেন, ‘সে আমাদের নাগরিক, বিচারক ও স্বাধীন বিচার বিভাগের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি। ফলে এখন তাকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ যুক্তরাষ্ট্রে আসে। সে ২০০৮ সালে এক মার্কিন নারীকে বিয়ে করে।
সে মার্কিন ফেডারেল আদালতের কাছে তার সকল অপরাধের কথা স্বীকার করে। আদালত এসব অপরাধের দায়ে তাকে ২৭ বছর কারাদ- দেয়।
২৭ বছর কারাভোগের পর মোহাম্মদকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এদিকে তার সাথে গ্রেফতার হওয়া অপর তিনজনের বিচার কাজ চলছে। তবে তারা সকলেই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।