সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারদের মধ্যে একজনকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার নাম সাইদুল আলম শিকদার। গতবছরের জুলাইয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুলকে।
মঙ্গলবার সাইদুল আলম শিকদারের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাইদুল আলম শিকদার মিতু হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন মুছার ছোট ভাই।
গত বছরের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এরপর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নাটকীয়তা হয়েছে বহু, তবে খোলেনি রহস্যের জাল। এক সময় অভিযোগ ওঠে মিতু হত্যায় খোদ তার স্বামীই জড়িত।
মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তারই বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছিলেন।
গতবছরের জুনে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। পরে ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।
মিতু হত্যা মামলায় শুরু থেকেই মুছার নাম ঘুরেফিরে এলেও তাকে এখনও গ্রেফতারের কথা জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে একটি জাতীয় দৈনিকের খবর- মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, মাহমুদা হত্যার ১৭ দিন পরই চট্টগ্রাম নগরের বন্দর এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদাপোশাকধারী পুলিশ মুছাকে তুলে নিয়ে যায়। তবে শুরু থেকেই এ দাবি অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।
এ মামলার দুই আসামি ইতোমধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।