মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ইতালির স্থায়ী প্রতিনিধি সিবাসতিয়ানো কার্ডি পরিষদের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পড়ে শোনান।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর নিরাপত্তা পরিষদের এ পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে এ বিবৃতিটিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলা হচ্ছে; যা সুনির্দিষ্টভাবে নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত দলিল হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে তিনি এই সংকট উত্তরণে একজন বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখেন। এ বিষয়ে তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানানো হয়।
নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার পরিস্থিতির নিবিড় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর মর্মে সভাপতি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবও যাতে নিরাপত্তা পরিষদে বিবৃতি প্রদান করেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করা হয় এবং ২৫ আগস্ট থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত রাখাইনে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ নিরাপত্তা পরিষদের একটি উন্মুক্ত সেশনে মিয়ানমারের উপস্থিতিতে দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর বিবৃতি প্রদান করেন। এরপর ১৩ অক্টোবর মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে ‘আরিয়া ফর্মুলা’ মিটিং এ বসে নিরাপত্তা পরিষদ। ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘ সদর দফতরের ইকোসক চেম্বারে ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট ও বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে’ জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক্ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।