দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। আজ সকাল ১০টায় জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র এবং জেডিসিতে কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ বিষয়ে পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ পরীক্ষার্থী। গত বছর এ পরীক্ষায় ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন অংশ নিয়েছিল। দেশের ২৮ হাজার ৬২৮টি স্কুল ও মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ ছাত্রী এবং ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ ছাত্র।
এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫৬ হাজার ৪৫ জন। গত বছর এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল তারাও এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। এ সংখ্যা জেএসসিতে ৮৭ হাজার ৬৯৭, জেডিসিতে ১১ হাজার ৭৭০ জন। বিদেশের ৯ কেন্দ্রে এবার ৬৫৯ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি পত্রে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে, অর্থাৎ এসএসসির মতো দুই অংশে আলাদাভাবে পাসের প্রয়োজন নেই।
এবারও জেএসসি ও জেডিসিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। তবে জেএসসির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মী ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। এ তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারবে না। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা বরাবরের মতোই অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম ও সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।