আয়কর মেলা জাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে : রাষ্ট্রপতি

আয়কর মেলা জাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আয়কর মেলার আয়োজন জাতীয় সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ উৎসবপ্রিয়।

বার মাসে তের পার্বণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আয়করের মতো নিরস ও জটিল একটি বিষয়কে নিয়ে মেলার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কেবল কর সংস্কৃতিতেই নয়, বরং আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতেও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ’

রাষ্ট্রপতি আজ ‘আয়কর মেলা ২০১৭’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর আয়কর মেলার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে আয়কর মেলার ধারণা।

আয়কর মেলা উপলক্ষে সম্মানিত করদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১-৭ নভেম্বর দেশব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুশাসন ও উন্নততর ব্যবস্থাপনা কাঠামোর আওতায় দুর্নীতি, হয়রানি, অসদাচরণ এবং বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে কর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

হামিদ বলেন, আয়কর মেলার পাশাপাশি আয়কর সপ্তাহ, জাতীয় আয়কর দিবস, রাজস্ব সংলাপ, রাজস্ব হালখাতা, আয়কর ক্যাম্প, সোস্যাল মিডিয়া সংলাপ, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ ইত্যাদি উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, উৎসে করসহ সমগ্র কর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণ, করদাতাদের কার্যকরী সেবা প্রদান ও আয়কর আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কাঙ্খিত রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬ নম্বর আদেশ বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করার লক্ষ্যেই ২০১০ সাল থেকে দেশে আয়কর মেলার প্রবর্তন করেছেন। এতে করদাতাগণ আয়কর প্রদানে উৎসাহিত হচ্ছেন। করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে ইতিমধ্যে রাজস্ববান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠছে এবং এর ফলে রাজস্ব আহরণ আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর আয়কর মেলার পরিসর, সেবার পরিধি আরো বেড়েছে জেনে আমি খুশি হয়েছি।

যেসব করদাতা সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরস্কার পাচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আয়কর প্রদান সামর্থ্যবান সকল নাগরিকের দায়িত্ব। প্রত্যেককেই প্রযোজ্য ক্ষেত্রসমূহে আয়কর প্রদানের জন্য তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান। উৎসবমুখর পরিবেশে সার্থকভাবে আয়কর মেলার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন হোক তিনি এ কামনা করেন।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর