বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মানবতার খাতিরে নয় বরং রাজনৈতিক শোডাউন করতেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হানিফ।
হানিফ বলেন, এই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার প্রায় তিন মাস পর বিদেশ থেকে আরাম আয়েশে কাটানোর পর খালেদা জিয়া এসে রোহিঙ্গাদের প্রতি দরদ দেখাতে গিয়েছেন।
হানিফ বলেন, ‘উনি মানবতার কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওখানে যাওয়ার নাম করে রাজনৈতিক শোডাউন করেছেন। রাস্তায় রাস্তায় ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়েছেন। ওনাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। আসলে উনি মানবতার জন্য কক্সবাজার যাননি, উনি গিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে, রাজনৈতিক শোডাউন করতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘উনি তিন মাস পরে এসে বলছেন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। এই পাঁচ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে প্রায় তিন মাস ধরে সরকার আশ্রয় দিয়েছে। তাদের কে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে? তাদের কে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে? তাদের স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করেছে? তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে? এমনকি তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের ভালোভাবে থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে সেখানে কাজ চলছে। সব ব্যবস্থা করা যখন শেষ, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে আছে সে সময় উনি গিয়ে সেখানে বলছেন, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। উনি যথাযথ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায় সেটা একটু দয়া করে বলুন, আমরা জানতে চাই।’
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বিএনপি নেতার নির্দেশেই যে হামলা হয়েছে তা প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, যে অডিও ক্লিপটি ফাঁস হয়েছে সেটির সূত্র ধরেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর এ ব্যাপারে বিএনপির নেতাদের নিশ্চিন্ত থাকতেও বলেন তিনি।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।