রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চান: হাছান মামুদ

রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চান: হাছান মামুদ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত শেরে বাংলা মাজার প্রাঙ্গণে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আপনি তিন মাস পর রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন। প্রথমে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাইবেন যে, আমি তিন মাস পর তোমাদের কাছে এসেছি এবং সেখানে গিয়ে দয়া করে কোনো উস্কানি মূলক বক্তব্য ও উস্কানি দিবেন না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনি প্রায় তিন মাস পরে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে যাচ্ছেন, আপনি এতো দিন কেন লন্ডনে বসে ছিলেন? আপনি কোনো হসপিটালে ভর্তি ছিলেন না, আপনার কোনো অপারেশন হয়নি। আমরা শুনি নাই, বিএনপি নেতারাও বলেন নাই, আপনি তিন মাস সেখানে বসে থাকলেন আর আপনার মহাসচিব সমানে মিথ্যা বলতে লাগলো।আপনি রবিবার রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে গিয়ে নিশ্চয় তাদের পরিবার পরিজনদের কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, কিভাবে তাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিভাবে জীবন্ত মানুষকে মিয়ানমারে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো শুনবেন এবং আপনার নেতৃত্বে কিভাবে পেট্রোল বোমা হামলা করা হয়েছে, কিভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে সেগুলো একটু শুনিয়ে আসবেন। তাহলে দেখবেন তাদের কাহিনীগুলো আর আপনার ঘটানো পেট্রোল বোমা হামলাগুলো এক এবং দুটির মধ্যে প্রচন্ড মিল খুঁজে পাবেন।

‘নির্বাচন কমিশনের সংলাপ লোক দেখানো’ মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাহলে আপনারা কেন গেলেন? নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শেষে খোশ মেজাজে বলেছিলেন আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। আবার সপ্তাহ দশদিন পর বলা শুরু করলেন এটি লোক দেখানো। অর্থাৎ আপনাদের কথা এবং কাজ কোনটার মধ্যে মিল নাই। আপনারা এমন একটা নির্বাচন চান, যে নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে জনগণ নির্ভয়ে, নির্ভিগ্নে, যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে তেমন একটি নির্বাচন। আপনারা নিজেদের কথায় নিজেরা স্থির থাকতে পারেন না। যারা নিজেদের কথায় নিজেরা স্থির থাকতে পারে না, তারা কিভাবে দেশ চালাবে, দেশের উন্নয়ন ঘটাবে । সুতরাং এদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মসলিসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।

Featured বাংলাদেশ রাজনীতি